টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামের এক গৃহবধূ ধর্ষণের চেষ্টাকারীর হাত থেকে বাঁচতে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় ওই গৃহবধূর স্বামী, সন্তান ও আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, প্রতিবেশী সেকান্দার আলীর ছেলে ইন্তাজ আলী প্রায় ৩ বছর যাবত তাকে নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি আমার স্বামী ও এলাকার মাতাব্বরদের জানালে ইন্তাজ আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে গত ১৮ এপ্রিল সকাল ৭ টা ৪০ মিনিটের দিকে আমি নিজ বাড়ির পূর্বপাশে নির্জন স্থানে সবজি বাগানে পানি দিতে যাই। তখন একা পেয়ে পেছন দিক থেকে আমার মুখ চেপে জড়িয়ে ধরে মাটিয়ে ফেলে দেন। এ সময় জোরপূর্বক কাপড় টানাটানি করে ছিড়ে ধর্ষণের চেষ্টা করতে থাকেন। আমাকে চড়থাপ্পড় মারেন। পরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আমার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তখন ইন্তাজ আলী পালিয়ে যান। তিনি চলে যাওয়ার সময় শাসিয়ে যান যে, ‘এই ঘটনা কাউকে বললে তোকে ও তোর পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মেরে ফেলব।’
এরপর গৃহবধূ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনালে ইন্তাজ আলীকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। ওই ঘটনার পর থেকে গৃহবধূ ও তার স্বামী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যেকোনো সময় ইন্তাজ আলী ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা দরিদ্র ওই গৃহবধূর বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেন বলে সংবাদ সম্মেলনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, ‘আমি খুব অসহায় দরিদ্র একজন ভ্যানচালক। আমার স্ত্রীর সঙ্গে যে কাজটি হয়েছে তার জন্য উপযুক্ত বিচার চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিবেশী তারাব আলী, আমজাদ হোসেনসহ ভুক্তভোগীর স্বামী ও দুই সন্তান।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ