নেত্রকোনায় পানিতে ডুবে যাওয়া শিশুকে উদ্ধারের পর করণীয়সহ পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে কমিউনিটি ভিত্তিক উদ্যোগ গ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে শহরের কাটলি এলাকায় সোসিও ইকোনোমিক অ্যান্ড রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (সেরা) এ সভার আয়োজন করে। এতে ন্যাশনাল এলায়েন্স ফর ড্রাউনিং প্রিভেনশনের (এনএডিপি) একটি পরিসংখ্যান উত্থাপন করা হয়।
সেরার নির্বাহী পরিচালক এস এম মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন এনএডিপির আহ্বায়ক সদরুল হাসান মজুমদার। তিনি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে জানান, জেলায় গত ৮ মাসে ৭২ জন শিশুসহ নানা বয়সীরা পানিতে ডুবে মারা গেছে। সারাদেশের তুলনায় নেত্রকোনার হার আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে এই মৃত্যুর হার কমাতে এবং প্রতিরোধে সচেতনতার পাশাপাশি সাঁতার শেখানো আবশ্যক বলে জানান তিনি।
সভায় বক্তব্য রাখেন জেলার সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ফখরুজ্জামান জুয়েল, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তুহিন আক্তার, উপ-আনুষ্ঠানিক ব্যুরো সহকারী পরিচালক রুহুল আমীন, সাংবাদিক আলপনা বেগম, পুর্বধলা আরবান সমন্বয়কারী আরশাদ হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর জন্য অসচেতনতাকেই দায়ী করেছেন। এজন্য গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠকের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন তারা। এতে স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি বলেও জানান। কারণ গ্রাম পর্যায়ে এই পানিতে ডুবির ঘটনা বেশি ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই