চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বিএম কনটেইনার ডিপোর অগ্নিকাণ্ডে নিহত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ফায়ার ফাইটার মো. আলাউদ্দিন (৩৫) ঘটনার দিন সকালেই ছুটি শেষে গ্রামের বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফিরে যান। শনিবার রাতে ভাটিয়ারিতে বিএম কনটেইনার ডিপোর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে তিনি প্রথম ইউনিটের সদস্য হিসেবে আগুন নেভানোর কাজ করছিলেন। সেই আগুন কেড়ে নিয়েছে তার জীবন। লাশ হয়ে চাটখিলের নিজ গ্রামের ফিরছেন তিনি। এদিকে আলাউদ্দিনের আকষ্মিক মৃত্যুর খবরে তার পরিবার ও পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত আলাউদ্দিন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রামের বড় মুন্সি বাড়ির আব্দুর রশিদের ছেলে।
আলাউদ্দিনের বড় ভাই জহির উদ্দিন জানান, তিনি ১৫ বছর আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে ফায়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। তার প্রথম কর্মস্থল ছিল ঢাকা, পরবর্তীতে ফেনী, চট্টগ্রামর আগ্রাবাদ, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী, কুমিল্লা এবং সর্বশেষ চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশন।
গত সপ্তাহের প্রথম দিকে ছুটিতে বাড়িতে আসে আলাউদ্দিন। সাত দিনের ছুটি শেষে শনিবার সকালে বাড়ি থেকে গিয়ে চট্টগ্রামের কুমিরা স্টেশনে যোগদান করেন তিনি। রাতে ভাটিয়ারিতে বিএম কনটেইনার ডিপোর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে তিনি প্রথম ইউনিটের সদস্য হিসেবে আগুন নেভানোর কাজ করছিলেন। এরপর বিস্ফোরণের সময় থেকে নিখোঁজ হন। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তার মৃত্যুর খবর পায় পরিবার।
স্ত্রী, বাবা-মা ও ছয় ভাই-চার বোনের সংসারে ভাইদের মধ্যে পঞ্চম ছিলেন আলাউদ্দিন। তার ছয় বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
আলাউদ্দিনের আকষ্মিক মৃত্যুর খবরে তার পরিবার ও পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসছে। সন্তান হারিয়ে নির্বাক বয়োবৃদ্ধ বাবা আবদুর রশিদ। মা মমতাজ বেগমের বিলাপ ‘আমার বাপে কই গেলো। তারে আমার কাছে আইনা দেন। সে কোনো দিন কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেনি। আমার পোলারে আইনা দেন’। স্বজন ও এলাকাবাসী মেনে নিতে পারছেন না এমন মৃত্যুর সংবাদ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল