সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজারের টেকনাফ স্থল বন্দরেও কর্মবিরতি চলছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে সারা দেশের সব শুল্ক ভবন ও স্টেশনে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে এই কর্মবিরতি পালন করা হয়।
ধর্মঘটের কারণে মিয়ানমার থেকে জলপথে টেকনাফ স্থল বন্দরে আসা বিভিন্ন ধরনের পণ্যবাহী কার্গো ট্রলার ও জাহাজ থেকে মালামাল ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে ট্রলার-জাহাজের জট। এতে বিপাকে পড়েছে পাঁচ শতাধিক শ্রমিক।
টেকনাফ স্থল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর কর্মবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মৌলিক অধিকার পরিপন্থী কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ এবং পণ্য চালান শুল্কায়নে এইচএস কোড ও সিপিসি নির্ধারণে যেসব বিতর্কিত আইন করেছে, তা বাতিলের দাবিতে এই কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। দাবি আদায় না হলে আরও বড় ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
স্থল বন্দরের শ্রমিকনেতা (মাঝি) আলী আজগর জানান, বর্তমানে স্থল বন্দরের জেটিতে ২৯টি কার্গো ট্রলার ও জাহাজ ভর্তি মালামাল রয়েছে। এসব মালামাল ওঠানামার দায়িত্বে সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ শ্রমিক রয়েছেন। সিএন্ডএফ এজেন্টদের দাবি আদায়ের জন্য সারাদিন কাজ বন্ধ রাখায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকরা।
স্থল বন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তা মো. শাহীন আখতার জানান, আজ সিএন্ডএফ এজেন্টের কর্মবিরতি পালন করায় এক কোটি টাকার রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই