চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ট্রেজেডিতে নিহত ফায়ার ফাইটার রমজানুল ইসলাম রনির জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয়েছে। ৭ জুন মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রনির নিজ গ্রাম শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের হেরুয়া বালুরঘাট এলাকায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
লাশ আসা, জানাজা ও দাফন পরবর্তী সময়ে ছিল স্বজন ও এলাকার মানুষের চোখে মুখে আবেগের ছাপ। ভোরে রনির লাশবাহি অ্যাম্বুলেন্সের শব্দে শোকার্ত মানুষের ঘুম ভাঙে। আশেপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ জমতে থাকে আগুনে পুড়ে যাওয়া অচেনা রনির লাশ দেখার জন্য। স্বজন ও এলাকার মানুষের চোখের পানিতে পুরো পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। কোনো সান্তনাই কান্না থামাতে পারেনি মানুষের। এলাকার সদালাপি চার ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় এই যুবক মাস ছয়েক আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন। স্ত্রী রুপার হলুদের দাগ না মুছতেই এমন ভাবে স্বামীকে হারিয়ে স্ত্রী যেন বাকরুদ্ধ। বৃদ্ধা মা কামরুন নাহার, বাবা আক্রাম হোসেন ছেলের সারা শরীর পুড়ে যাওয়া অচেনা এই লাশ দেখে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন। সব মিলিয়ে রনির বাড়িতে এক হ্নদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক জাবেদ হোসেন মোহাম্মদ তারেকের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাকে গার্ড অব অনার ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় রনির আত্মীয়-স্বজনসহ হাজারও মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে চট্টগ্রামের শীতলপুর এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় খবর পেয়ে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভাতে গিয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সীতাকুণ্ড দমকল বিভাগে কর্মরত শেরপুরের ছেলে ফায়ারফাইটার রমজানুল ইসলাম রনি। রবিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তার স্ত্রী ও সহকর্মীরা তার লাশ শনাক্ত করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল