কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে প্রেমের বিয়ে ১১ মাস পার না হতেই মারজাহান আক্তার কুসুম (১৯) নামক এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার বিকালে উপজেলা বাংলাইশ মজুমদার বাড়ির স্বামীর নিজ ঘরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন। নিহত গৃহবধূ মারজান আক্তার কুসুম উপজেলার ঝলম উত্তর ইউনিয়নের বাংলাইশ গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে দিদার হোসেনের স্ত্রী ও লাকসাম উপজেলার ফুলহারা গ্রামের আবদুল রশিদের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামীর মুঠোফোনটি বন্ধ রেখে আত্মগোপনে রয়েছেন।
মনোহরগঞ্জ থানার পুলিশের এস.আই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে এবং নিহতের স্বজনেরা থানায় এসেছেন তারা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নিহত গৃহবধূর বড় ভাই সোলেমান রাতে জানান, দিদার হোসেন সঙ্গে আমার বোন কুসুমের প্রেমের সম্পর্কে ছিল। দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে গত ২০২১ সালে ঈদুল আযহার পর তাদের বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্বামী দিদার তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। পরে আমার বাবা-মার একটি ব্যাংক সঞ্চয় ভেঙে কুসুমের জামাই বাড়িতে নতুন আসবাবপত্র ও নগদ টাকা দিদারের হাতে দেন। এরপর থেকে যৌতুকের প্রতি তার লালসা আরও বেড়ে যায়। সে কুসুমকে বাবার বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা নিয়ে আসতে বলে। এ প্রস্তাবে রাজি না হলে সে ঢাকায় আরও একটি বিয়ে করবে বলে হুমকি দেয়। স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে শেষ পর্যন্ত কুসুম আত্মহত্যা করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম