বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন ডাক্তার ও নগরীর আমানতগঞ্জ ইসলামিয়া কলেজের ছাত্রদের সাথে মারামারি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ নগরীর ইসলামিয়া কলেজের একাদশ শ্রেণির ৩ জন ছাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে মো. রিয়াদুল নামে এক ছাত্র চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
মৃতের স্বজন ও সহপাঠীদের অভিযোগ চিকিৎসা অবহেলার কারণে তাদের রোগীর মারা গেছে। রোগী মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে ইন্টার্ন ডাক্তার আব্দুল্লাহ ইমরানকে মারধর করে তারা।
এ নিয়ে উত্তেজনার এক পর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ মামলা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে শান্ত হয় ইন্টার্নরা। এ সময় ইন্টার্নরা নিহত রিয়াদের সহপাঠী শাওন ও আনোয়ারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। শাওন উত্তর আমানতগঞ্জের মো. কবিরের ছেলে এবং আনোয়ার নিউ ভাটিখানা এলাকার ইউনুস হাওলাদারের ছেলে।
অপরদিকে ওই ঘটনার বিচার দাবিসহ হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবিতে শনিবার রাত ৯টার দিকে জরুরি বিভাগের গেট আটকে ফের বিক্ষোভ শুরু করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইন্টার্নরা তাদের দায়িত্ব ফেলে জরুরি বিভাগের গেট আটকে বিক্ষোভ করছিলো।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন