নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে নিহতের পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহত গৃহবধূর নাম আইরিন আক্তার রাফি (১৯)। সে উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষকামতা গ্রামের মহিবুর রহমানের স্ত্রী। নিহত গৃহবধুর মা রেহানা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ননদসহ শশুর বাড়ির লোকজন আইরিনের চিকিৎসার জন্য ও যৌতুক হিসেবে ৪-৫ লাখ টাকা দাবি করে করে আসছে। এ নিয়ে তার সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয় এবং আইরিনকে মারধর করে।
শনিবার (১৮ জুন) বেলা ১১টার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, একই দিন সকাল ৬টার দিকে উপজেলার ঘোষকামতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, নিহতের ননদ সাথী আক্তার আজ সকাল ৬টার দিকে ভাবির কক্ষের সামনে গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করে। ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। পরে কক্ষে ঢুকে দেখে ভাবি আইরিন আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, তাৎক্ষণিক আত্মহত্যার নির্দিষ্ট কোন কারণ জানা যায়নি। বেলা ১১টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত খতিয়ে দেখবো অন্য বিষয় আছে কিনা।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ