ঝিনাইদহের শৈলকূপায় পৌর আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে থানা যুবলীগের নেতা ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হল মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে পৌর এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র আশরাফুল আজম ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার ইকুর সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ইকুর সমর্থক থানা যুবলীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান ভুট্ট (৪০) ও তার স্ত্রীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে মেয়র আজমের সমর্থকরা।
পৌর আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার ইকু জানান, সন্ধ্যার দিকে ভুট্ট তার স্ত্রী লিজাকে নিয়ে চৌরাস্তা মোড়ে আম কিনছিল। এসময় মেয়র আজমের ছেলে রাজিবের নেতৃত্বে বাদশা, নুর ইসলাম, জাহাঙ্গীর ও সাহেব আলীসহ ১০/১২ জন সংঘবদ্ধ হয়ে তাকে চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকে। সেসময় তার স্ত্রী স্বামীকে ঠেকাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে আহত করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এরপর বিক্ষুদ্ধ জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে পৌর ভবনে ভাঙচুর চালায়।
এ ব্যাপারে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র আশরাফুল আজমের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে তার ছেলে রাজিবকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।
শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই