পিরোজপুরের সদর উপজেলায় পরকীয়ার জেরে মো. মইনুল (১১) নামের এক শিশুকে খুনের দায়ে শওকত আলী খান (৫২) নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত শওকত আলী খান পিরোজপুর সদর উপজেলার ডোরা গ্রামের মৃত আশ্রাব আলী খানের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুর সদর উপজেলার পোরগোলা গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী রফিকুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী মমতাজ বেগমের সাথে পিরোজপুর সদর উপজেলার ডোরা গ্রামের আসামী শওকত আলী খানের দেড় থেকে দুই বছর ধরে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। তাদের এই পরকীয়া সম্পর্কের কথা মমতাজ বেগমের ছেলে মো. মইনুল জানতে পেরে শওকত আলী খানকে প্রকাশ্যে ও গোপনে তার মায়ের সাথে মেলামেশা করতে নিষেধ করে। মইনুল তার মাকে নিয়ে পিরোজপুরের পালপাড়া এলাকার বাসায় থাকা শুরু করে। ২০০৩ সালের ২৩ মার্চ মইনুল তার মাকে জানায় সে তার নানা বাড়ি ভৈরমপুর যাবে কিন্তু মইনুল তা না করে তার নিজ বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার পোরগোলা গ্রামে যায়। ওইদিন রাতে কোন এক সময় শওকত আলী খান মইনুলকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পোরগোলা গ্রামের বাধ মারার চরে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় মইনুলের দাদি রোকেয়া খাতুন বাদী হয়ে ২০০৩ সালের ২৭ মার্চ পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান মামলার তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ২৮ মে আসামি শওকত আলী খানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
সরকার পক্ষের সহকারী সরকারি আইনজীবী (এপিপি) জহিরুল ইসলাম বলেন, ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ প্রমাণে আদালত ১ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম