শিরোনাম
২৫ জুন, ২০২২ ১৯:২৭

বাগেরহাটে বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটে বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও

প্রতীকী ছবি

বয়স বাড়িয়ে গোপনে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল এসএসসি পরীক্ষার্থী লামিয়া আক্তার রিমকে (১৭)। এই খবর জানতে পেরে প্রশাসনের লোকজন গিয়ে হাজির হন বিয়ের আসরে। প্রশাসনের হাতে ধরা পড়ে যান বর, বরের মামা ও চাচা। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বরসহ তিন জনকে আটক করে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। 

শনিবার বিকেলে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলামের বাড়িতে চলছিল এই বাল্যবিয়ের আয়োজন। এ সময় মেয়ের বাবা পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। লামিয়া আক্তার রিম চালিতাবুনিয়া সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

দণ্ডপ্রাপ্তারা হলেন- পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার হোগলপাতি গ্রামের মো. জিহাদুল ইসলামের ছেলে বর মো. জুবায়ের (২০), জুবায়েরের চাচা একই গ্রামের মৃত আ. হক ফকিরের ছেলে নূরুজ্জামান ফকির (৩০) এবং বরের মামা শরণখোলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের আ. খালেক তারুকদারের ছেলে বাদল তালুকদার (৫০)। 

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, ছেলের মামা খালেক তালুকদার এই ব্যালবিয়ের আয়োজক। তিনি তার ভাগ্নে জুবায়েরের সঙ্গে লামিয়া আক্তার রিমের বিয়ে দিচ্ছিলেন। মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলামের বাড়িতে অতিগোপনে বিয়ে সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছিল। স্থানীয়দের মাধ্যমে এই খবর জনতে পেরে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে ছেলেসহ তিন জনকে আটক করা হয়। এসময় মেয়ের বাবা পালিয়ে যান। আটকদের তিনজনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। 

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর