আগামী ২৭ জুলাই জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র নারী প্রার্থী সাবেকুন নাহার শিখা’র পক্ষের সমর্থক-প্রস্তাবকদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের মত পরিবর্তন করানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই নারী মেয়র প্রার্থী। শনিবার দুপুরে পাঁচবিবি পৌর শহরের দানেজপুর এলাকায় নিজ বাসভবনে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন একই এলাকার ফরহাদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মানিক মন্ডল, মৌসূমী আক্তারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
শিখা অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক ভাবে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ১০০ জন সাধারণ সমর্থকের প্রয়োজন হয়। সে নিয়ম অনুযায়ী সকল নিয়ম মেনে স্থানীয় পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে তার পক্ষের সকল সাধারণ সমর্থক ও প্রস্তাবকের স্বাক্ষর সম্বলিত কাগজপত্রসহ তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি।
গত ৩০ জুন বৃহষ্পতিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করার দিন তিনি তার পক্ষের সমর্থক নার্গিস আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে পার্শ্ববর্তী আটাপুর ইউনিয়নে যান। সেখান থেকে নার্গিস আক্তারকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যান আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের কর্মীরা। পরে তাকে দিয়ে জোর করিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তার মত বদল করতে বাধ্য করানো হয়। ওই সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মীদের চাপে নার্গিস আক্তার বলতে বাধ্য হন যে, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক নন।
এ ছাড়া অন্যান্য প্রস্তাবক ও সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে একই হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শিখা। এ ব্যাপারে আরো তথ্য প্রমাণ সংরক্ষিত রয়েছে যার ভিত্তিতে আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সন্ত্রাস ও হুমকি-ধমকির কোনো আশ্রয়-প্রশ্রয় দেইনি এবং এসব উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারা অব্যাহত রাখতে দল আবারো আমাকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে যোগ্য মনে করেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে যিনি আমাকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করছেন, সেটা নিছক তার মনগড়া, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
