চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়া এই তিন নদীর মিলনস্থলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দলবেঁধে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে বিনোদন প্রেমী বিভিন্ন বয়সের মানুষ। মহামারীর সংকট কাটিয়ে এবার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় থামছেই না। সার্বিক নিরাপত্তায় মডেল থানার পুলিশ তৎপর রয়েছে। চাঁদপুরে একমাত্র মোলহেডটিকে (তিন নদীর মিলনস্থল) আধুনিকায়ন করে দৃষ্টিনন্দন করবে এমনটাই প্রত্যাশা বিনোদনপ্রেমীদের। ঈদের ৩দিন পর বুধবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় কিছুতেই থামছে না।
মোকাদ্দেস মাহী ও ঔশী কর্মকার বলেন, প্রিয়জনদের সাথে ঈদ আনন্দ উদযাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ বিনোদন। চাঁদপুরে একমাত্র দৃষ্টিনন্দন বিনোদন কেন্দ্র বড় স্টেশন মোলহেড। এখানে তিন নদীর জলকেলি, বড় বড় লঞ্চের ছুটে চলা, নৌকায় চড়ে ইলিশ ধরার দৃশ্য, বিকেল বেলায় সূর্যি মামার ডুবে যাওয়ার চমৎকার দৃশ্যও উপভোগ করা যায়। ইচ্ছে করলেই ট্রলারযোগে মেঘনা নদীর অপর প্রান্তে বেশ কয়েকটি চরে কাঁশ ও ঘাসবন ঘুরে আসা যায়। এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে স্থানীয়দের পাশাপাশি আশপাশের বিভিন্ন জেলার মানুষ ছুটে আসে। মহামারীর সংকট কাটিয়ে এবারের ঈদে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। এখানে তরুণ-তরুণীদের সবচাইতে পছন্দের উপকরণ পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীতে নৌকা ও স্পীডবোটে ভ্রমণ করা।
চাঁদপুর থিম পার্কের এমডি আল-আমীন বলেন, চাঁদপুরে শুধু বড় স্টেশনে মোলহেড পাকর্ই নয়। এখানে বিভিন্ন ব্যক্তি উদ্যোগে বাবুরহাটে ”ফাইভ স্টার পার্ক এন্ড কমিউনিটি সেন্টার”, মহামায়ায় ”কৃতি কুঞ্জ পার্ক ” ও বাকিলায় ”ত্রিমোহনা থিম পার্ক'” গড়ে উঠেছে। এই ৪টি বিনোদন কেন্দ্রে শিশু ও সকল বয়সীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইড স্থাপন করা হয়েছে। ভ্রমন পিপাসুদের চাহিদার কথা চিন্তা করে আরো কিছু রাইড স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। করোনায় আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আশা করছি এবারের ঈদে কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবো।
চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত পুলিশের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বাই রোটেশনে পুলিশের ৪টি টিম বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে টহল দিচ্ছে। এছাড়াও টিমের বাইরেও অতিরিক্ত পুলিশ কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোন নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটেনি।
বিডি প্রতিদিন/এএ