শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বস্তাবন্দি অবস্থায় পুকুরের পানি থেকে মিম আক্তার (১৩) নামে এক কিশোরীর লাশ পাওয়া যায় গত ২৪ জুলাই রবিবার।ময়নাতদন্ত শেষে জানা যায় ওই কিশোরিকে প্রথমে ধর্ষণ পরে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। এই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা মো. আল আমিন (২৭) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪।
মঙ্গলবার রাতে ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ঘাগড়া কামারপাড়া এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। আল আমিন একই উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া গ্রামের মো. শাহজাহান মিয়ার ছেলে ও পেশায় অটোরিক্সা চালক। বুধবার দুুপুরে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের মাধ্যমে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বুধবার সকালে শেরপুর প্রেসক্লাবে এক প্রেস ব্রিফিং-এ র্যাব-১৪’র কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে মাদকসেবী আল আমিন মিমকে উপজেলার কালঘোঁষা নদীর তীরে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে ভিকটিমের গলায় উড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মিমের লাশ বস্তাবন্দি করে পূর্ব শত্রু পার্শ্ববর্তী সাঈদ মিয়াকে ফাঁসাতে সাঈদের পুকুরে নিয়ে ফেলে রাখে। র্যাবের নিজস্ব তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামি আল আমিনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে শনাক্ত ও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি। র্যাব কর্মকর্তার দাবি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার এম এম সবুজ রানাসহ র্যাবের অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। র্যাব চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ছায়া তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন