বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ৯০ কিলোমিটার পূর্বে বঙ্গোপসাগরে জেলে বহরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় এফবি জুনায়েদ ট্রলারের ১৩ জন ও এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়ার-৩ এর ১৭ জেলেকে পিটিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাত ১০ টার দিকে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
দুটি ট্রলারের ৩০ জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে ১৩ লাখ টাকার ইলিশ মাছ ও ৫ লাখ টাকার রসদ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। আজ শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে এসে এসব তথ্য জানান ফিরে আসা জেলেরা।
আবদুল্লাহ'র মালিকানাধীন ট্রলার এফবি জুনায়েদ’র জেলেরা হলেন শাহজাহান মাঝি (৫৫), মো. মিরাজ (৪২), শাহজাহান (৩৫), শাহিন (২৮) মাসুম মিয়া (৩৫), জাকির মিস্ত্রী (৩৫), মোহাম্মদ আলী (৪৫), জাকির হোসেন (৪০), রবিউল হক (৪৪), শহিদুল ইসলাম (৫২), খোকন (৩৪), মো. রাজু মিয়া (২৫), মো. মন্টু মিয়া (৩৬)।
অন্য ট্রলারটি এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘাটে না আসায় জেলেদের নাম জানা যায়নি।
এফবি জুনায়েদ ট্রলারের মাঝি শাহজাহান ও মালিক আবদুল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরের মাছ শিকার করে কূলে ফিরে আসার পথে ৩০ জনের অস্ত্রধারী ডাকাত দল ট্রলারে উঠে জেলেদের জিম্মি করে ট্রলারে ৫ লাখ টাকার মাছ, ৫ লাখ টাকার বরফসহ অন্যান্য সামগ্রী লুটে নিয়ে যায়। এ সময় জেলেদের পিটিয়ে আহত করে। এর মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছে মিরাজ, খোকন, মন্টু ও শাহজাহান। তাদের সকলের বাড়ি পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকায়।
এদিকে এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়া-৩ ট্রলারের মালিক আলম মোল্লা বলেন, আমার ট্রলারে অস্ত্রধারী ডাকাতরা ডাকাতি করে অন্তত ৮ লাখ টাকার মাছ লুটে নিয়ে গেছে। এসময় মাঝি মো. হোসেনসহ জেলেরা বাধা দিলে হোসেন মাঝিকে কুপিয়ে জখম করে। তার মাথায় আঘাত লেগেছে। এখনো ঘাটে আসেনি ট্রলার।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বঙ্গোপসাগরে ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২টি ট্রলারের তথ্য পেলেও ফিরে আসা জেলেরা জানিয়েছেন, অন্তত ১০টি ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। সকল ট্রলার ফিরে এলে বিস্তারিত জানা যাবে।
কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মোমিন বলেন, ডাকাতির খবর এখন পর্যন্ত শুনিনি। আপনার কাছেই এই প্রথম শুনলাম। এ ব্যপারে নৌ পুলিশের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা