ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বিভিন্ন সড়কে হাতি নিয়ে ঘুরে ঘুরে সাধারণ জনগণকে ভয় দেখিয়ে অভিনব কৌশলে চলছে চাঁদাবাজি। চাঁদাবাজরা সড়কে নামায় বিশালদেহী হাতি, ভয়ে সেই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারেনা শিক্ষার্থী, পথচারীসহ কোনো যানবাহন।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাতির পিঠে খুব একটা ভাব নিয়ে বসে থাকে মাহুত। আর এই মাহুতের নির্দেশেই এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যায় হাতিটি। এরপর শুঁড় এগিয়ে দেয় দোকানদারের কাছে। শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরায় না হাতিটি। এভাবেই অভিনব কৌশলে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোনাগাজী মুহুরী প্রজেক্ট সড়কের নজরুল প্রাইমারী, মনগাজী, ভৈরবচৌধুরী, শাহাপুর, সোনাপুর বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন মাহুত। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে দোকানের ধরণ অনুযায়ী ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। শুধু দোকানেই সীমাবদ্ধ নয়, সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করেও টাকা তুলতে দেখা যায় এই মাহুতকে। মনগাজী বাজারের একটি মুদি দোকানে হঠাৎ বিশাল দেহের হাতিটি মাহুতের ইঙ্গিতে শুঁড় এগিয়ে দিলো দোকানের মধ্যে। সঙ্গে সঙ্গে দোকানদার ৩০ টাকা হাতিটির শুঁড়ে গুঁজে দিলেন।
মনগাজী বাজারের সৌরভ মেডিসিন কর্ণারের স্বত্তাধিকারী মেজবাহুল হুদা সৌরভ জানান, মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতি নিয়ে এসে এভাবে চাঁদা আদায় করা হয়। প্রতিটি দোকান থেকে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হয়। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত দোকান থেকে হাতি সরিয়ে নেওয়া হয় না। অনেক সময় সাধারণ মানুষ, শিশু বাচ্চাসহ নারী ক্রেতারা হাতি দেখে ভয় পান। এতে ব্যবসায়ের ক্ষতি হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের শাহাপুর এলাকার ইউপি সদস্য শেখ ফরিদ বলেন, সকালে শাহাপুর বাজারে এসে দেখি হাতি দিয়ে দোকান ও পথচারী থেকে টাকা তুলছে হাতির মালিক। এত উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়। আমি গিয়ে বাধা দিলে চলে যায়। সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মঞ্জুরুল হক বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ