বরগুনার আমতলী উপজেলার আমড়াগাছিয়া গ্রামের নারায়ণ ডাক্তার নামের এক ব্যাক্তির বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে ডাকাতরা বাড়ির লোকজনকে দেশীয় ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও জখম করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। আহতদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় জনতা এক ডাকাতকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
সোমবার দিবাগত রাত অনুমানিক আড়াইটা থেকে তিনটার দিকে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত আড়াইটা থেকে তিনটার দিকে উপজেলার আমড়াগাছিয়া গ্রামের নারায়ণ ডাক্তারে বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে ৭/৮ জনের একদল ডাকাত বসত ঘরে প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘরে থাকা লোজজনকে জিম্মি করে। এ সময় নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয়ার সময় ঘরে থাকা লোকজন বাঁধা দেয়। বাঁধা পেয়ে ডাকাতরা নারায়ণ ডাক্তার (৭৬), তার স্ত্রী কুনতি রাণী (৬৫) ও বোন বিরাজ বালাকে (৮০) দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আহতদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ডাকাত দল পালিয়ে যাওয়ার সময় আবুল কালাম (৪৫) নামে এক ডাকাত জনতার হাতে ধরা পড়ে।
স্বজন ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ওই রাতেই আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতার হাতে আটক ডাকাত দলের সদস্য আহত আবুল কালামকে তাদের হেফাজতে নিয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছেন। আটককৃত ডাকাতের বাড়ি ঝালকাঠী জেলার কাঠালিয়ার ঝোড়খালী গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত. আ. রশিদ মৃধার ছেলে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আহতরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্থানীয় জনতা এক ডাকাতকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ওই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল