শিরোনাম
- হার দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ
- স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ আর নেই
- এখন গণভোট আয়োজন জাতীয় নির্বাচনকে পেছানোর প্রয়াস: সালাহউদ্দিন আহমদ
- ফার্মগেটে হলিক্রস কলেজের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
- জিয়াউর রহমানের সমাধিতে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া করলেন খালেদা জিয়া
- ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত
- শ্রমবাজার সম্প্রসারণে ভিসা জটিলতা দূর করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
- ইসরায়েলি কারাগারে বিনাবিচারে ফিলিস্তিনির মৃত্যু
- লন্ডনে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়রের সাথে বাসস চেয়ারম্যানের মতবিনিময়
- গাজা যুদ্ধবিরতি ইস্যু, বৈঠকে যোগ দিতে মিসরে উইটকফ-কুশনার
- ট্রাম্পের নির্দেশে ইলিনয় পৌঁছেছে ২০০ সৈন্য
- চাকসু নির্বাচনে ইশতেহারে শিবির প্যানেল ৩৩ সংস্কার, ছাত্রদল ৬৯
- আগামী নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে গোপনীয়তা অটুট থাকবে: ফয়েজ আহমদ
- আরও ৫ মামলায় অব্যাহতি পেলেন মির্জা ফখরুল
- গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বুরকিনা ফাসোতে আট এনজিও কর্মী গ্রেফতার
- পরীক্ষা করা হবে বাস চালক ও শ্রমিকদের চোখ
- সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুরের ১৩ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ
- রসায়নে নোবেল বিজয়ী কে এই ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ওমর?
- জাপানে সুপারমার্কেটে ভালুকের আক্রমণ, আহত ২
- ইকুয়েডর প্রেসিডেন্টের গাড়িতে হামলা
অনাবৃষ্টিতে রায়পুরে আমন চাষিরা চরম বিপাকে
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন

চলতি বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় আমন চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছেন। কৃষি জমিতে প্রয়োজনীয় পানি না থাকায় বীজতলা তৈরি থেকে শুরু করে চারা উৎপাদন, আমন ধানের জমি প্রস্তুত করা ও চারা রোপণ পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, মৌসুম প্রায় শেষ পর্যায়ে হলেও এখনো অনেক কৃষকই জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারেননি। তাদের চোখেমুখে ভর করেছে রাজ্যের হতাশা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের ছাপ। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কিছু কিছু জমিতে নানা কায়দা-কানুন করে আমন চাষ করলেও অবশিষ্ট জমিতে আদৌ তা করা যাবে কি না-এ নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, রায়পুর উপজেলায় প্রায় ১৩ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা থাকলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৬ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা সম্ভব হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত অনেক বছরের মধ্যে চলতি বছর এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত খুবই কম হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে গেলেও এখনো কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ বৃষ্টি হয়নি।
ফলে কৃষি জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করার মতো পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যাচ্ছে না। মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টি হলেও তা ফসল চাষের জন্য যথেষ্ট নয়। আবার বিএডিসি’র আওতাধীন কিছু কিছু সেচ প্রকল্পে পানি সরবরাহ করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। অধিকন্তু উপজেলার বেশিরভাগ কৃষি জমিই এখনো এই প্রকল্পের বাইরে থাকায় পানি সরবরাহ পায়নি।
উপজেলার কয়েকজন আমন চাষি জানান, এ বছর এখন পর্যন্ত যা অবস্থা, তাতে আমরা আমন চাষ করতে পারব কি না-তা জানি না। একদিকে বৃষ্টি নেই, অন্যদিকে বিএডিসি’র পানির দামও বেশি। সবরকম দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের জীবনযাত্রার ব্যয়ও বেড়ে গেছে।
এ বিষয়ে রায়পুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন বলেন, আমন চাষ সাধারণত বৃষ্টির পানির উপর নির্ভরশীল। এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় পানির সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা বিকল্প উপায়ে পানি সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি দ্রুততম সময়ে পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর