বরগুনার পাথরঘাটায় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১১ বছরের এক ছাত্রকে অমানুষিক নির্যাতন করে গুরুতর জখম করা অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি নিয়ে গেছেন তার স্বজনরা। গত বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মাছের খাল কোরবানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে বিকালে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির জরুরি বৈঠকে নির্যাতনকারী দু’শিক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সাংবাদিকদের নির্যাতনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ দুলাল হোসেন। অভিযুক্ত শিক্ষক মিল্লাত হোসেন ও আল আমিন উভয়ই ওই মাদরাসার হাফেজি বিভাগের শিক্ষক এবং আহত শিক্ষার্থীও একই মাদরাসার হাফেজি বিভাগের ছাত্র।
আহত মাদরাসা ছাত্র জালিশ আহমেদ জানান, সে বাড়িতে আসতে ছুটি চেয়েছিল। বাড়িতে আসতে চাওয়ার অপরাধে তাকে আসতে না দিয়ে সকালে দুই দফায় শিক্ষক মিল্লাত ও আল আমিন বেত দিয়ে বেধড়ক মারে। আহত ওই শিক্ষার্থীর বাবা জাকির হোসেন জানান, ছেলের এমন অবস্থা দেখে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসি।
অভিযুক্ত শিক্ষকরা মুঠোফোনে বলেন, ওই ছাত্র মাদ্রাসা থেকে বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে চলে যেতো। সেদিনও একই ভাবে পালাচ্ছিল। তাই তাকে একটু শাসন করার চেষ্টা করেছি। যদিও বিষয়টি একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। তাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে আমাদের বিচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, আমার কাছে এ পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর