দিনাজপুরে ‘ইয়াসমীন ট্রাজেডির ২৭ বছর পূর্তি ও গণআন্দোলনে শহীদ সামু-কাদের-সিরাজ স্মরণে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দিনাজপুরের দশমাইলের পূর্ব সাদিপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই ‘স্মরণ সভা’ অনুষ্ঠিত হয়।
‘স্মরণ সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য ও ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী নেতা মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী-শিশু নির্যাতনের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। তারপরেও কি নির্যাতন বন্ধ হয়েছে? পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতনের খবর। তাই নারী-শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলাগুলো বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।
তিনি বলেন, দিনাজপুরের সহজ-সরল ও বাহে মানুষগুলো ৯৫’র ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে দেখিয়েছেন তাদের বাহুকার জোড় কত। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলে আমরা যে বিচার পেয়েছি তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।
ইয়াসমিন ট্রাজেডি পরিষদের আহ্বায়ক মো. মজিদুল ইসলাম মাস্টারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাসুদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আব্দুল করিম, কাহারোল উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম ফারুক, বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম নুর, সাবেক সদস্য বজলুল করিম বাবলু, সুন্দরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হামিদুল ইসলাম।
পরে আন্দোলনে শহীদ সামু-কাদের-সিরাজ স্মরণে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট কিছু বিপথগামী পুলিশ সদস্য ইয়াসমিনকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারই প্রতিবাদে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তার চূড়ান্ত রূপ নেয় ২৭ আগস্ট। সেদিন পুলিশের গুলিতে সামু, কাদের, সিরাজসহ ৭ জন নিহত হয়। সেই থেকে তাদের স্মরণে প্রতিবছর ২৭ শে আগস্ট স্মরণ সভা পালিত হয়ে আসছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর