সুদের কিস্তির টাকা না দেওয়ায় সাত্তার সরকার নামে এক ব্যক্তিকে মারপিটের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী সাত্তার সরকারের ছেলে সাব্বির বাদী হয়ে রোকনসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৪ জনকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
আহত সাত্তার সরকার বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা চাইপাড়া গ্রামের ভ্যারাইটি ব্যবসায়ী সাত্তার সরকার (৪০) তিন মাস আগে রোকনুজ্জামান রোকনের কাছে সুদের ওপর পাঁচ হাজার টাকা ধার নেন। ওই টাকার সাপ্তাহিক সুদ হিসেবে ৫০০ টাকা করে প্রদান করতে থাকেন। গত ২৫ আগস্ট রাত ৮টার দিকে সাত্তার সরকারের কাছে ওই সুদের টাকা নিতে আসেন করোটা গ্রামের সেলিম মিস্ত্রির ছেলে মো. শিমুল (২৫)।
হাতে টাকা না থাকায় অপারগতা জানালে শিমুল তাকে গালমন্দ করতে থাকেন। এ সময় সাত্তার তাকে গালমন্দ না করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু শিমুল কোনো কথা শুনতে চান না। পরে সে ফোন করে রোকনকে এলাকায় আসতে বলে। একটি মাইক্রোবাস ও দুটি মোটরসাইকেলে রোকন তার সঙ্গীসহ সাত্তার সরকারের দোকানে আসেন। এ সময় শিমুলসহ সকলেই সাত্তার সরকারের ওপর চড়াও হয়ে মারপিট করতে থাকেন।
একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাত্তার সরকারের মাথায় আঘাত করে জখম করেন এবং তার দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয় এজাহারে। বর্তমানে সাত্তার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহিন জানান, তারা রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন। বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের জেলা সভাপতি ফরহাদ-বিন আজিজের সঙ্গে কথা বলেছি। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে রোকনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, সুদের কারবার সংক্রান্ত ও মারপিট মামলায় রোকনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর