পদ্মার ভাঙনে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড় কানন্দি ও পালের চর ইউনিয়নে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানের কাজ করছে পানিউননয়ন বোর্ড। বড় কান্দী ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে রয়েছে। এ ছাড়া পদ্মার ভাঙ্গনে বিলিন হয়েছে রাস্তাা ঘাট, ঘর বাড়ি, ফসলি জমি। কয়েক দিন জাবদ থেমে থেমে চলছে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন। গত কয়েক দিনের অব্যহত ভাঙ্গনের ফলে বিলিন হয়েছে ২০০ মিটার ফসলি জমি। ভিটে বাড়ি হরিয়ে দিশে হারা হয়েপড়েছে ভাঙ্গন কবলিতরা। ভাঙ্গন কবলিতদের দাবী স্থায়ী বেরি বাধ নির্মানের।
শরীয়তপুরের জাজিরার বড়কান্দী বাজারের অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জায়গা বিলিন হয়ে গেছে, স্থানান্তরিত হয়েছে শতাধিক দোকান ঘর, ঝুঁকিতে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকশ পরিবার। ভাঙ্গনের আশংকায় রয়েছে পদ্মা পাড়ের মানুষ। ভাঙ্গন রোধে ১৫০০ মিটার যায়গায় জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোড । এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তরা তেমন কোন ত্রান সহায়তা।
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড় কান্দী ইউনিয়নসহ ৩ ইউনিয়নে ভাঙ্গন দেখা দিরেয়ছে। পদ্মার ভাঙ্গনের কারনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এ সব এলাকার শত শত ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসি। একইভাবে অব্যাহত থাকলে মাত্র ২৫০ মিটৃার দুরে থাকা বড়কান্দী মডেল একাডিমি ও ৭ নং বড়কান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বাঙ্গন আতংকে রয়েছে। যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলিন হতেপারে। প্রায় ৬শ শিক্ষার্থী নিয়ে দিশেহারা শিক্ষক, অভিভাবক ও বিদ্যালয় কমিটির সদ্যসরা বলেন, আমাদের দুই তিনবার নদী ভাঙগনের শিকার হয়েছি। আবার নদীভান দেখাদিয়েছে । আমরা দিশা পইতেছিনা কি করবো। কোথায় যাবো। ভিটেবাড়ি শরীয়ে নেওয়ার মত কোন জায়গা নেই। তাই সরকারের কাছে দাবী বাধ নির্মান করে দেয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করছি।
বিডি প্রতিদিন/এএ