কারাগারে মৃত মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তোফায়েল আহমেদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে নিহতের ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। বিকাল ৩ টায় মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামে জানাজার নামাজ শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মেহেরপুরের একটি স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক মিজানুর রহমানের করা চেক ডিজওনার মামলায় গত ৩০ মে তার ৮ মাসের সাজা হয়। গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কারাগারের নিজস্ব গাড়িতে করে তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টা ২৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান রাত আটার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তোফায়েল আহম্মেদকে কারাক্ষীরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন তার অবস্থা আশংকাজনক থাকায় তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারেননি। এসময় তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করা হয়। এখন ময়না তদন্তেদর রিপোর্ট হাতে এলে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।
মেহেরপুর জেলা কারাগারের সুপার মোখলেসুর রহমান জানান, তিনি একটি চেক ডিজওনার মামলার ৮ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। শারিরীক ভাবে অসুস্থ থাকায় প্রতিদিন অনেক পরিমানে ঔষধ সেবন করতেন।
নিহত তোফায়েল আহম্মেদের মেয়ে তাহমিন রুশদি বলেন, আমার বাবা সাংবাদিক মিজানুর রহমানের কাছ থেকে আড়াইলক্ষ টাকা সুদে ধার নিয়ে ছিলেন। আসল টাকা শোধ করতে পারলেও সুদের টাকা শোধ করতে পারেননি। তাই উনার দায়ের করা মামলায় বাবার সাজা হয়। তিনি সুস্থ ছিলেন। কখন কিভাবে অসুস্থ হলেন আমরা জানিনা। তার মৃত্যুর খবরও আমাদের জেলখানা থেকে জানানো হয়নি। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ফেসবুক ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে বাবার মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত হয়ে আমরা হাসপাতালে আসি। এরপর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আমার বাবার মৃতদেহ পাই।
মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুণ বলেন, সন্ধ্যায় এত বড় একটা ঘটনা ঘটলো অথচ রাত ১০ টার আমরা প্রাথমিক তথ্য পাচ্ছি। জেল কর্তৃপক্ষের উচিৎ ছিলো অসুস্থ হবার সাথে সাথে আমাদের জানানো। জেলা প্রশাসন, কারা কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন না করায় এ দুর্ঘটনা ঘটলো। আমাদের জানালে আমরা সামর্থ মতো চেষ্টা করতে পারতাম।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল