বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের ঋণ পরিশোধের সময় এসেছে। আজ ৬ শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধার নামে সড়ক উদ্বোধন করার মধ্য দিয়ে তা শুরু করা হলো উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়াদিয়ে এদেশের মানুষ দলমত বর্ণ নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। সে দিন তাদের সামনে একমাত্র লক্ষ ছিল দেশকে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত করা। মুক্তিযোদ্ধারা কোন কিছু পাওয়ার আশায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি।
সোমবার দিনাজপুর জেলায় প্রথম সদর উপজেলার কমলপুর ইউনিয়নে ৬জন শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধার নামে সড়ক নামকরণ ও মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়ক নামকরণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হলো। তিনি উল্লেখ করেন দিনাজপুর জেলার মধ্যে সদর উপজেলায় এই কমলপুর ইউনিয়নের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তিনি আরও বলেন, হাজার বছরের শৃংখলিত বাঙ্গালিকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে বাঙ্গালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই কারণেই বঙ্গবন্ধুকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তারই কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ৩ হাজার টাকা থেকে ২০ টাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী উন্নীত করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি করে দিয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা যতদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকবেন দেশের সর্বক্ষেত্রে সহ নির্ভরতা অর্জিত হবে। একসময়ে বিদ্যুৎ সংকটের কারণে বিশেষ করে গ্রামীণ মানুষকে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েছে শেখ হাসিনা। আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক উন্নতী হয়েছে। মানুষের জীবন যাত্রার উন্নীত হয়েছে।
সড়কের নামকরণের ৬জন শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধারা হলেন-আব্দুর রশিদ, শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী, শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ, শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা সুলতান আলী, শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দীন, শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা হাফিজ উদ্দীন।
দিনাজপুর সদরের কমলপুর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ও সদর উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আল মুঈদ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) দেবাশীষ রায়, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইমদাদ সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সোহাগ, দিনাজপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিকুল হক ছুটু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বাবলু, সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার লোকমান হাকিম, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি চিত্ত ঘোষ, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজু, দিনাজপুর কোতয়ালী অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন