নরসিংদীতে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে পদ না পাওয়ায় দল থেকে পদত্যাগের নাটক সাজিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে। নবগঠিত কমিটির ২৩ নেতার নাম উল্লেখ করে পদত্যগের এই নাটক সাজানো হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আলোকবালি ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদী জেলা বিএনপির কার্যালয় চিনিশপুরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নরসিংদী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন।
তিনি জানান, ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সম্প্রতি শাহ আলম চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও আব্দুল কাইয়ুম সরকারকে সদস্য সচিব করে ৪০ সদস্য বিশিষ্ট আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সদর থানা যুবদলের এক নেতা ক্ষিপ্ত হয়। এলাকার নেতৃত্ব হাতে নিতে তিনি আলোকবালী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের পদ চেয়েছিলেন। দলের ঊর্ধ্বতন নেতারা রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের ত্যাগী ও হামলা মামলার শিকার এমন নেতাদের কমিটিতে স্থান দিয়েছেন।
তাই বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিব ছাড়া ২৩ জনের নাম লিখে পদত্যাগের নাটক সাজিয়েছেন। পরে সেটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন। বাস্তবে নবগঠিত কমিটির কেউ পদত্যাগ করেনি। এমনকি পদত্যাগ পত্রে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা সবাই আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছে। ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই এমন কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী, সদস্য সচিব কাইয়ুম সরকার, যুগ্ম আহ্বায়ক মানিক মিয়া, সাইদুর রহমান মোমেন, জয়নাল আবেদীন সরকার, কালু মেম্বার, সদস্য তারেক সরকার ও মান্নান মেম্বার।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন বলেন, বিএনপি একটি বড় দল। এখানে অনেক নেতাকর্মীর সমাগম রয়েছে। তাই পদ-পদবী প্রত্যাশীও অনেক বেশি। সবাইকে তো পদ দেয়া যায় না। দলের জন্য যারা নিবেদিত প্রাণ তাদেরকেই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।
২৩ নেতার পদত্যাগের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, এটা মিথ্যে। আমার কাছে কেউ পদত্যাগপত্র জমা দেয়নি। পদত্যাগে যাদের নাম শোনা গেছে, আমি তাদের সাথে কথা বলেছি। পদত্যাগের ব্যাপারে তারা কিছু জানেই না। গুটি কয়েক পদবঞ্চিত নেতা এলাকায় গুঞ্জন ছড়াচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
