২ অক্টোবর, ২০২২ ২২:১৮

চালক হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৩

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:

চালক হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৩

নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিপাড়া নরপদি এলাকায় মিশুক চালক কিশোর মো. কায়েসকে (১৬) হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ছিনতাইকৃত মিশুক গাড়িটি উদ্ধারসহ ৩ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

হত্যাকান্ডে ও মিশুক বিক্রির কাজে মোট ৫ জন জড়িত ছিল। পলাতক রয়েছে আরো ২ জন। রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো, বন্দর পদুঘর এলাকার মুক্তার হোসেনের পুত্র কাউছার (২০), একই এলাকার মো: সেলিমের পুত্র কামরুজ্জামান শিমুল ওরফে শ্যামল (২৫) ও দক্ষিণ কুলচরিত্র এলাকার রাজা গাজীর পুত্র ফাহিম ওরফে জিকো (২০)। পলাতক ২ জন হলো, তিনগাঁও ভদ্রাসন এলাকার বাসিন্দা নাছির উদ্দিন বিটলের পুত্র লিমন ওরফে রিমন (২০) ও পদুঘর এলাকার মো: মনিরের পুত্র হানিফ (১৯)।


সংবাদ সম্মেলনে এসপি রাসেল জানান, মিশুক চালক মো: কায়েস (১৬) গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভোরে গ্যারেজ থেকে মিশুক নিয়ে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। ২৯ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ কায়েসের মা শারমিন বেগম বাদি হয়ে বন্দর থানায় একটি জিডি দায়ের করেন। নিখোঁজের ৪ দিন পরে শনিবার পহেলা অক্টোবর সকালে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিপাড়া নরপদি এলাকায় একটি ঝোঁপ থেকে মিশু চালক মো: কায়েসের হাত পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত কায়েস নবীগঞ্জ নোয়াদ্দা এলাকার মোঃ কাশেম মিয়ার ছেলে। ওই ঘটনায় শনিবার রাতেই বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের ১২ ঘন্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনসহ ছিনতাইকৃত মিশুক গাড়ি উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে, হত্যাকান্ডে ও মিশুক বিক্রির কাজে মোট ৫ জন জড়িত ছিল। পদুঘর এলাকা থেকে মিশুকটি ভাড়া করে লিমন ওরফে রিমন, কামরুজ্জামান শিমুল ওরফে শ্যামল, ফাহিম ওরফে জিকো ও হানিফ এই ৪ জন। পরে তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মিশুকটিসহ সাবদী ব্রীজের কাছে নিয়ে গিয়ে সেখানে মদপান করে। পরবর্তীতে মিশুক চালককে কলাগাছিয়া কান্দিপাড়া নরপদি এলাকায় যেতে বলে। সেখানে গিয়ে মিশুক চালককে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে একটি ঝোঁপের মধ্যে লাশ ফেলে মিশুকটি নিয়ে চলে আসে। মিশুক বিক্রিতে তাদেরকে সহযোগিতা করে কাউছার।

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর