খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার রাতে সমাবেশস্থল সোনালী ব্যাংক চত্বরে উপস্থিত হন দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় সেখানে কয়েক হাজার নেতাকর্মী জড়ো হন।
তারা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণসমাবেশ ঠেকাতে ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করেছে সরকার। খুলনার সাথে ১৮টি রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে, লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তারপরও খুলনায় গণসমাবেশ স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনস্রোতে পরিণত হবে।
এদিকে রাতেই সমাবেশ স্থলে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। এর আগে কুষ্টিয়া, যশোর, মাগুরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা থেকে ট্রেনে করে অসংখ্য নেতাকর্মী খুলনায় পৌছেন। সাতক্ষীরা, নড়াইল, খুলনার বিভিন্ন উপজেলা দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা থেকে ট্রলারযোগে খুলনায় আসেন নেতাকর্মীরা। তাদের অনেকেই সমাবেশ স্থলে অবস্থানের জন্য মাদুর, বালিশ, পানির বোতল ও ব্যাগে কাপড়চোপড় নিয়ে এসেছেন।
জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এবং জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বিএনপির নেতাকর্মী হত্যা, হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনায় বিভাগীয় গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করে বলেন, খুলনা, বাগেরহাট. যশোরসহ বিভিন্ন জেলায় শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করেছে। বাস চলাচল লঞ্চ ট্রলার পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তিনি কর্মসূচি সফল করতে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের উস্কানিমূলক আচরণ না করে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন