এলাকায় মাদকাসক্তদের প্রতিবাদ করার অপরাধে শেরপুরে পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোছা নাজমা বেগমকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। আহত প্যানেল মেয়র এখন শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শেরপুর পৌর এলাকার দিঘারপাড় চৌরা বাড়ী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নাজমা শেরপুর পৌসভার ৭ ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের (সংরক্ষিত) মহিলা কাউন্সিলর।
জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে পৌর এলাকার দিঘারপাড় এলাকায় নেশার রমরমা বাণিজ্য চলছে। কাউন্সিলর নাজমার দাবি মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে এলাকার এক সময়ের বিশিষ্ট চোর টেপু ওরফে টেপু চোরা ও তার পরিবারের সবাই নেশার ব্যবসার সাথে জড়িত। এই মাদক সিন্ডিগেটের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ওই মহিলা জনপ্রতিনিধিকে বারবার অভিযোগ দিয়ে আসছেন। গত বৃহস্পতিবার নাজমা বিষয়টি পৌরসভার মেয়রকে অবহিত করেন। মেয়র ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারকে জানান। বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকায় ডিবি পুলিশ তদন্তে যায় এবং টিপু ও নেশা বিক্রির সাথে জড়িত টেপুর তিন ছেলে, পরিবারের আরও কয়েকজনসহ এলাকার বেশ কয়েকজনের নাম লিখে আনে। এনিয়ে রাতেই কাউন্সিলর নাজমার প্রতিবেশী টেপুর পরিবারের লোকজন নাজমাকে প্রচন্ড গালিগালি করে। আজ সকালে নাজমা বাড়ি থেকে বের হলে টেপু ও তার ছেলে রফিক, শহীদ ও নাতি জাহিদ ও বাপ্পিসহ মহিলারা মারধর করে। এক পর্যায়ে নাজমার পরনের উরনা খুলে শ্লীলতাহানি করা হয়। পরে আশেপাশের লোকজনের সয়তায় নাজমাকে হাসপাতালে আনা হয়। এলাকাবাসী জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে নেশা বিক্রির সাথে জড়িত। থানায় বেশ কয়েকটি মামলা আছে। নেশা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার অপরাধেই ওই কাউন্সিলরকে লাঞ্চিত করা হয়েছে।
শেরপুর সদর থানার ওসি বছির উদ্দিন বাদল জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলম কিবরিয়া লিটন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, খারাপ কাজের প্রতিবাদ করায় জনপ্রতিনিধি আক্রান্ত হওয়া দুঃখজনক। ব্যবস্থা নিতে আগামী রবিবার পৌর কাউন্সিল থেকে প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল