দীর্ঘ ১০ বছর পর সোমবার দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল। কাউন্সিলকে ঘিরে শহরের বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের রং-বেরংয়ের পোষ্টার শোভা পাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোষ্টারে জানান দিচ্ছে প্রার্থিতার। নেতাকর্মীদের মাঝে চাঙাভাব লক্ষনীয়। নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। শহরে সব মহলেই আলোচনায় আছে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে কার কার নাম আসছে।
সম্মেলনকে ঘিরে শহর সেজেছে নতুন সাজে। রঙিন পোস্টার-ব্যানারে রাস্তা, সভা মঞ্চ, আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভরে গেছে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সব জল্পনা-কল্পনা গ্রুপিং লবিং পিছনে ফেলে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। তবে নতুন-পুরাতনের সমন্বয়ে নতুন নেতৃত্ব আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি যেন কাউন্সিলের মাধ্যমে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়।
সোমবার সকাল ১১টায় দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ ময়দানে জেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলের উদ্বোধক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান এমপি, প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ড, হাছান মাহমুদ এমপিসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও দিনাজপুরের সাত এমপি ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।এদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি সাবেক মন্ত্রী এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.এইচ.এম মাহমুদ আলী এমপি ও সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে। অপরদিকে সাধারন সম্পাদক পদে বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, শিবলী সাদিক এমপি, মনোরঞ্জশীল গোপাল এমপি, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলতাফুজ্জামান মিতা, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. তহিদুল হক সরকার, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ্যাড. দেলোয়ার হোসেন, একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও মির্জা আশফাক এর নাম শোন যাচ্ছে। আবার কারো কারো নাম উভয় পদেই শোনা যাচ্ছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফুজ্জামান মিতা জানান, জেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে মোট ৪৭৭ জন কাউন্সিলর। জনসংখ্যার ভিত্তিতে উপজেলা ভিত্তিক এই কাউন্সিলর নির্বাচিত করা হয়। এক্ষেত্রে প্রতি ১০ হাজার জনসংখায় একজন কাউন্সিলর নির্বাচিত করা হয়। সব শেষ কাউন্সিল হয়েছে ২০১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর।
বিডি প্রতিদিন/এএ