পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে দিনাজপুরে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির গণমিছিল করেছে। জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এই গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ২৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, আটককৃত বেশীরভাগই জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী। তবে আটককৃতদের যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে কোতোয়ালী থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম জানান।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজার এলাকা থেকে গণমিছিল বের করা হয়।স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোর থেকে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা বিক্ষিপ্তভাবে শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে অবস্থান নিতে শুরু করেন। দুপুর ১২টার দিকে নেতাকর্মীরা রেলস্টেশনের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়। এ সময় লিলির মোড় থেকে বাহাদুর বাজার পর্যন্ত নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা যায়। পুলিশ এ সময় রেলস্টেশনের প্রধান ফটক এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে নেতাকর্মীদের ঠেকানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে জামায়াতের সদস্য আজগর আলীকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এতে নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল বের করেন। পরে মিছিলটি বাহাদুর বাজার গোলকুঠি হয়ে হাসপাতাল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েকজনকে আটক করে।
কোতোয়ালী থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকাল থেকে শহরের বাহাদুর বাজারের রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করে জামায়াতের নেতাকর্মীরা। নাশকতা করার চেষ্টাকালে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এসময় বিভিন্ন স্থান থেকে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের নামে পূর্বের মামলা রয়েছে। আটককৃতদের যাচাই করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত