গলাচিপার চরকাজল ইউনিয়নের ছোটশিবা গ্রামে কলই ক্ষেতে শাক তুলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় কিশোরী স্বপ্না আক্তার (১২)। ঘটনার দুইদিন পরে স্থানীয় ডুমুরের চরের খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সূত্র জানায়, পুলিশ অভিযান চালিয়ে রবিবার রাত দশটার দিকে ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে। এর আগে ওই এলাকার সোবহান সরদারের ছেলে অভিযুক্ত রেজাউল সরদারকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়। কিশোরীর বাবা বাবুল ফকির বাদী হয়ে স্বপ্নাকে হত্যার অভিযোগে থানায় রেজাউলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রেজাউল লাথি মেরে স্বপ্নাকে হত্যা করে খালের কচুরিপানার মধ্যে লাশ লুকিয়ে রাখার তথ্য স্বীকার করে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের ছোটশিবা গ্রামের বাবুল ফকিরের মেয়ে স্বপ্না আক্তার শনিবার বিকালে তার দাদী আয়েশা বেগমের সাথে বাড়ির পাশে ক্ষেতে কলই শাক তুলতে যায়। তার দাদী বাড়ি চলে আসলেও সন্ধ্যার পরেও স্বপ্না বাড়ি ফেরে না। এরপর পরিবার ও এলাকাবাসী মিলে রেজাউল সরদারের কলই ক্ষেতে স্বপ্নার ছেঁড়া জামা-কাপড় দেখতে পায়। কিন্তু কোথাও স্বপ্নাকে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করে। পরে রবিবার রাত ৮ টার দিকে অভিযুক্ত রেজাউলকে গ্রেফতার করে গলাচিপা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রেজাউল স্বপ্নাকে হত্যার তথ্য স্বীকার করে। পরে রেজাউলের তথ্য অনুসারে, রাত দশটার দিকে ডুমুরের চরের খালের কচুরিপানার ভেতর থেকে স্বপ্নার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, কিশোরী স্বপ্না হত্যার মামলার একমাত্র আসামি রেজাউলকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল