সিলেটের বিশ্বনাথে নিখোঁজের ৯ ঘণ্টার মাথায় খালে পাওয়া গেছে বৃদ্ধের লাশ। তার নাম আসক আলী (৭৫)। তিনি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের জগদিশপুর গ্রামের মৃত হাজি ঈসমাইল আলী ছেলে।
আজ সোমবার বিকেল ২টায় বাড়ির অদূরে চউলধনী হাওরের সমসার খালে পাওয়া যায় মরদেহ। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
সূত্র জানায়, আসক আলী প্রতিদিন শেষ রাতে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে গ্রামের মসজিদে যেতেন ফজর পড়তে। ঘটনার দিন ফজরের নামাজের পূর্বে বাড়ির পুকুরে ওযু করতে গিয়ে আর ঘরে ফিরেননি তিনি। ভোরের আলো ফুটলে তার সন্ধানে বের হন পরিবারের লোকজন। বাড়ির পুকুর ঘাটে গিয়ে পাওয়া যায় তার ব্যবহৃত পরিত্যক্ত জুতা ও টুপি। সন্ধান চাওয়া হয় সোস্যাল মিডিয়ায়ও। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে চাউলধনী হাওরের সমসার খালে পাওয়া যায় বৃদ্ধ আসকের নিথর দেহ। বৃদ্ধের দ্বিতীয় ছেলে আবদুল কদ্দুস জানান, আমার বৃদ্ধ পিতা বাড়ি থেকে এতো দূরে হাওয়ের যাবার কোন যৌক্তিকতা নেই। তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে এখানে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে।
এ বিষেয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, বৃদ্ধের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল