বাগেরহাটের মোংলায় সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয় থেকে চোরা শিকারিদের কাছ থেকে হরিণের মাংস কিনতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক হয়ে দুই ক্রেতা। এ সময় হরিণের মাংস ফেলে পালিয়ে যায় দুই চোরা শিকারী।
সোমবার সকালে মোংলা উপজেলার নারকেলতলা-মাকোরডন আবাসন এলাকা থেকে হরিণের ১৯ কেজি মাংসসহ দুই ক্রেতাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে স্থানীয়রা।
আটককৃতা হলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার নারকেলতলা-মাকোরডন আবাসন এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে রাজমিস্ত্রী মো. সাদ্দাম হোসেন (৩২) ও সুলতান শরীফের ছেলে ভ্যানচালক চালক মো. বেল্লাল শরীফ (৩২)।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম জানান, সোমবার সকালে সাড়ে ১০টার দিকে মোংলা উপজেলার নারকেলতলা-মাকোরডন আবাসন এলাকায় মাংস বিক্রি করতে আসে দুই চোরা শিকারি জয়মনি গ্রামের হাসান ও চাঁদপাই গ্রামের কাদের। সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করে আনা এই দুই চোরা শিকারির কাছ থেকে কেজি প্রতি ৭০০ টাকা করে দুই কেজি হরিণের মাংস কিনে নেন রাজমিস্ত্রী মো. সাদ্দাম হোসেন ও ভ্যানচালক চালক মো. বেল্লাল শরীফ। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখে ফেললে দুই চোরা শিকারি হাসান ও কাদের রাস্তায় বস্তাভর্তি মাংস ফেলে মোটরসাইকেলে করে দ্রুত পালিয়ে যায়। লোকজন ঘটনাস্থলে এসে দুই কেজি হরিণের মাংসসহ দুই ক্রেতা রাজমিস্ত্রী মো. সাদ্দাম হোসেন ও ভ্যানচালক চালক মো. বেল্লাল শরীফকে আটক করে। এসময়ে পালিয়ে যাওয়া দুই চোরা শিকারির রাস্তায় ফেলে যাওয়া বস্তাভর্তি হরিণের মাংসও উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হারুন মল্লিক বিষয়টি মোংলা থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্রি করা দুই কেজিসহ বস্তাভর্তি ১৯ কেজি হরিণের মাংস ও দুই ক্রেতাকে থানায় নিয়ে আসে। বন আইনে মামলা দিয়ে উদ্ধারকৃত ১৯ কেজি হরিণের মাংসসহ আটককৃত দুই ক্রেতাকে বিকালে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন