রমজানের প্রথম দিনে বগুড়ায় ইফতারের দোকানগুলোতে সাধারণ মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। বরাবরের মতো এবারও বগুড়ার ইফতারে সাদা দইয়ের কদর বেড়েছে। পুরো শহরে সাদা দই বিক্রি সাড়া ফেলেছে।
শহরের বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে নানা রকম ইফতারির পসরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ইফতার সামগ্রীর মধ্যে বগুড়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয় সাদা দই। ইফতারে এই সাদা দই বগুড়াবাসীর ঐতিহ্য।
শহরের বিভিন্ন দই ব্যবসায়ী জানান, সাদা দইয়ের প্রতি হাড়ি বিক্রি করা হয়ে থাকে ৯০ থেকে ১৭০ টাকা করে। সাদা দই দ্রুত শরীর ঠান্ডা করে। এই কারণে ইফতারে সাদা দইয়ের চাহিদা বেশি।
ইফতার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ছোলা, বুট, বুন্দিয়া, জিলাপী, বেগুনি, খেজুর, হালুয়া, ডালপিয়াজি। এসব ইফতারসামগ্রী শ্যামলী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, সেলিম হোটেল, কোয়ালিটি হোটেলসহ শতাধিক হোটেলে পাওয়া যাচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার ইফতারের দাম বেশি।
সাদা দই কিনতে আসা শহরের বউ বাজার এলাকার রেবেকা সুলতানা পাপড়ী জানান, রমজানে হরেক রকমের ইফতারের সাথে তৃষ্ণা মেটাতে সাদা দইয়ের স্বাদের বিকল্প নেই।
বগুড়া শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কের মিঠাই মেলার স্বত্ত্বাধিকারী মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব জানান, সাদা দই বিক্রি করা হচ্ছে প্রতি হাড়ি ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা। রমজানের প্রথম দিনেই বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে।
বগুড়া শহরের কলোনী বাজারের দই ব্যবসায়ী শ্রী বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ জানান, প্রতি বছর রমজানে সাদা দইয়ের চাহিদা থাকে প্রচুর। ইফতারের সময় তৃষ্ণা মেটাতে সাদা দই সব বয়সী মানুষের কাছে প্রিয়। গত বছরের তুলনায় এবার বেচা-কেনা ভালো। প্রকারভেদে সাদা দই বিক্রি করা হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত। অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়ার কারণে দইয়ের দামও কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া শহরের আকবরিয়া, মিঠাই মেলা ও এনাম দই ঘরসহ অন্যান্য দই ঘরে এসব দই বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজান মাসে সাদা দইয়ের প্রচুর চাহিদা থাকে। পুরো রমজান মাস ঘিরে জেলায় প্রায় ১৫ কোটি টাকার দই বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
