বৈশাখের খরতাপে দেখা নেই কালবৈশাখীর। মেঘহীন আকাশে চলছে প্রখর রোদের খেলা। এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। তবে রংপুরসহ উত্তরের প্রকৃতিতে বৈশাখ মাসে এমনটা হচ্ছে। প্রতি বছর চৈত্রের শেষে বৈশাখের শুরুতে এই অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি হলেও এবার প্রকৃতি রুক্ষ আচরণ করছে।
কোথায়ও ঝড় তো দূরের কথা কোথায়ও বৃষ্টির ছিটে ফোঁটার দেখা নেই। জলবায়ুর এই পরিবর্তনে মানুষ, ফসলসহ অন্যান্য প্রাণিজগতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তবে আবহাওয়া অফিস বলছে দুই-একদিনের মধ্যে রংপুরসহ আশপাশ এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, কালবৈশাখী একটি স্থানীয় বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড় যা বাংলাদেশে কিছু অঞ্চলে হয়ে থাকে। মার্চ থেকে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টির দেখা মিলে। গ্রীস্ম ঋতুর হাত ধরে শুরু হয় বৈশাখী ঝড়-বৃষ্টির যাত্রা। কাল শব্দের অর্থ ধ্বংস এবং বৈশাখ মাসে উৎপত্তি হয় বলে একে কালবৈশাখী নামে অভিহিত করা হয়। গ্রীষ্মকালে বা এপ্রিল- মে মাসে বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে মাঝে মধ্যে বিকালের দিকে বজ্রবিদ্যুৎসহ যে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি হয় তাকে কালবৈশাখী বলে। কালবৈশাখী ঝড় উত্তর দিক থেকে প্রবাহিত হয়। এই ঝড়-বৃষ্টি অনেক সময় ক্ষতিকারক হলেও তপ্ত আবহাওয়া শীতল করতে ভ‚মিকা রাখে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বৈশাখে ঝড়-বৃষ্টি গুরুত্বপূর্ণ হলেও এবার বৈশাখের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ঝড়-বৃষ্টির দেখা নেই।
এবার বৈশাখে ঝড়-বৃষ্টি না হওয়াতে প্রকৃতির প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করছে। মানুষের ক্ষেত্রে ঘরে ঘরে জ্বর-সদি দেখা দিয়েছে। অনেকে স্থানে ডায়রিয়ার প্রকোপও দেখা দিয়েছে। গরমের কারণে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় রয়েছে বয়স্ক ও শিশুরা। বয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে।
এছাড়া সেচ নির্ভর বোরো ধান নিয়ে চিন্তিত রয়েছে কৃষকরা। তাপদাহে ধানের চিটা হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া আম-লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। এতে ফলন বিপর্য়য়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তবে রংপুরের স্বাস্থ্য বিভাগ ও কৃষি বিভাগ এই অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য মানুষকে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।
একিকে রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেছেন, দুই একদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম