স্কুলছাত্রী হত্যাকারী কাওসারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন। এ দাবিতে বৃহস্পতিবার একাধিক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা শহরের ছোটবাজার এলাকায় স্থানীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে এই মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাহেজা বেগম এনি, আবু আব্বাস ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক নাজমুল কবীর সরকার, জেলা উদীচীর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান খান, যুব মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী সৈয়দা শামছুন্নাহার বিউটি, নেলি বড়ুয়া, ফাহমিনা সুলতানা তোতাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করেন।
বক্তারা বিদ্যমান কিশোর ও শিশু আইন সংশোধনের দাবি জানান। তারা বলেন, দেশের পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং সৃষ্টি হয়েছে। তারা খুন থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বিচারের আওতায় নেওয়া হয় না বলে একটা শ্রেণি তাদেরকে ব্যবহার করে দেশকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছে।উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে উপজেলার ছালিপুরা এলাকায় স্কুলছাত্রী মুক্তিব র্মণকে কোপান কাওছার। বিকেল পাঁচটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা ওই স্কুলছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মুক্তি উপজেলার প্রেমনগর গ্রামের নিখিল বর্মণের মেয়ে এবং প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আর অভিযুক্ত কাওছার একই গ্রামের মো. শামসু মিয়ার ছেলে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল