দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ও অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিলেন ফরিদপুরের সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের চর জোয়াইর গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলম। হতদরিদ্র পিতার পক্ষে জাহাঙ্গীরের চিকিৎসার ব্যয় ভার বহন করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে উঠে। ফলে চিকিৎসা করাতে না পেরে একেবারেই পঙ্গু হয়ে যায় মেধাবী শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর।
হুইল চেয়ারে চলাফেরা করতে গিয়েও নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হতো। স্ত্রীকে নিয়ে সংসার যখন চলছিল না তখন এগিয়ে আসে এসএসসি-২০০১ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জাহাঙ্গীরকে দেয়া হয় নতুন একটি রিকশা।
রবিবার জাহাঙ্গীরের হাতে রিকশাটি তুলে দেন ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। নতুন রিকশাটি পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন জাহাঙ্গীর। তিনি জানান, ২০১৪ সালের ১০ জুন সিড়ি থেকে পড়ে গিয়ে ঘাড়ের হাড় ও হাত-পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। অনেক টাকা খরচ করেও কোনো লাভ হয়নি। দরিদ্র বাবা-মায়ের চিকিৎসার জন্য তেমন কোনো টাকাও নেই। ফলে চিকিৎসা করাতে না পেরে একেবারেই পঙ্গু হয়ে যাই। স্ত্রী ছোট্ট একটি কাজ করতো। তা দিয়েই সংসার কোনোমতে চলছিল। নতুন একটি রিকশা পেয়ে এখন সেটি ভাড়া দিয়ে চলতে পারবো।
জাহাঙ্গীর বলেন, আমাকে যারা রিকশাটি দিয়ে সহযোগীতা করেছে তাদের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করি।
এসএসসি-২০০১ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সাথে জড়িতরা জানান, ‘প্রজেক্ট স্বাবলম্বি’ নামের এ উদ্যোগে এবার আমরা আমাদের ব্যাচমেট যারা প্রক্ষাঘাতগ্রস্থ রয়েছে তাদের সাহায্য করবো। এই প্রজেক্টের আওতায় আমরা আমাদের বন্ধু জাহাঙ্গীরকে নতুন একটি রিকশা দিয়ে সহায়তা করেছি। যাতে করে সে এটি ভাড়া দিয়ে নিজে স্ত্রীকে নিয়ে সংসার চালাতে পারে। আমাদের এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
