কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন।আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সংঘর্ষে আহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া। তিনি বলেন, আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অনেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। গুরুতর আহত একজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংঘর্ষে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। যানজটে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি, যাত্রীবাহী গাড়িসহ অন্যান্য যানবাহন। এতে দুর্ভোগে পড়েন নারী শিশুসহ হাজারো যাত্রী।
এদিকে, মহাসড়কে দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকার পর বেলা ১২টায় পুলিশের হস্তক্ষেপে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম বাজারের মহাসড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা গেছে। সেখানেও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে দেখা গেছে অর্ধশত লোকের দুইটি দল। প্রত্যেকের হাতে লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক ও তার বিদ্রোহী গ্রুপ (চৌদ্দগ্রামের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান গ্রুপ) শো-ডাউনের আয়োজন করে। উপজেলা সদরে শো-ডাউন যেন না করতে পারে সেটা কেন্দ্র করেই সংঘর্ষ বাধে।
হেলাল ফকির নামে একজন লরিচালক বলেন, মহাসড়কে অবস্থান করা ব্যক্তিরা রাম দা দেখিয়ে বিভিন্ন গাড়িতে ছিনতাই করেছে।
মিয়া বাজার হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় আছে পুলিশ। তিনি বলেন, আমরা কাজ করছি।
হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্যাহ বলেন, পুলিশের হস্তক্ষেপে সংঘর্ষের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বেলা ১২টা দিকে মহাসড়কের যানচলাচল শুরু হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল