কক্সবাজারে পৃথক অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় গোলাগুলির ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও। সোমবার ভোর কক্সবাজার সদর ও টেকনাফ উপজেলায় পৃথক এই অভিযান চালানো হয়।
এর মধ্যে কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী ইউনিয়নের বাজার এলাকায় পুলিশের সাথে ডাকাত দলের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই ডাকাতকে ২ টি এলজি, ১ টি বন্দুক, ১৫ রাউন্ড গুলি, ২ টি ধারালো কিরিচ, ১ টি রামদা, ও একটি ছোরাসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ অভিযানে আহত হয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভারুয়াখালী ইউপিস্থ উল্টাখালীর ফকিরের কবরের বাজার এলাকায় একটি ডাকাত দল অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। সরকারি সম্পদ ও জানমাল রক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এ সময় পুলিশের গুলিতে আহত হন ডাকাত আব্দুল আজিজ (৪২)। তাকে ধরতে গেলে আহত হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজান। পালানোর সময় অপর আসামী সাইফুল ইসলাম (৩২) কে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনের পৃথক ধারায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২ জনের বিরুদ্ধে আগেও কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ভোরে টেকনাফে অস্ত্র ও গুলি সহ মনছুর আলম (৩৯) নামের এক যুবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মনুছর আলম, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছাড়া এলাকার জহির আহমদের ছেলে। তার কাছ থেকে দেশীয় তৈরি ১ টি এলজি ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ থানার ওসি মো. জুবাইর সৈয়দ জানিয়েছেন, গত ১২ আগস্ট দুপুরে মানুছর আলম প্রকাশ্যে গুলি বর্ষণের ঘটনা করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ৩ টি মামলা রয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত কারাগারে প্রেরণ করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম