কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়নসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ঘটনাটি ঘটে। হামলার শিকার নয়নের সমর্থকরা পরে বিকাল ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা ইটনা ছাত্রলীগের সম্মেলনে উপস্থিত হতে ছাত্রলীগ কেন্দ্ৰীয় সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের দিকে আসছিলেন। কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে বরণ করার জন্য আগে থেকেই বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উমান খানের নেতৃত্বে একগ্রুপ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়নের নেতৃত্বে আরেকটি গ্রুপ জড়ো হয়।কেন্দ্ৰীয় দুই নেতা ওই এলাকায় আসার আগেই দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষ হয়। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক লুৎফুর রহমান নয়ন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম স্বপন ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী আরিয়ান আহমেদ বিনয়সহ বেশ কয়েকজন আহত হন। হামলার শিকার বিক্ষুব্ধ অংশটি পরে বিকাল ৩ টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম স্বপন জানান, কেন্দ্ৰীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে ফুল দিতে গিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের লোকজনের দ্বারা তিনিসহ বেশ কয়েকজন হামলার শিকার হয়েছেন।
তবে হামলার ঘটনা অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন বলেন, কখন কোথায় হামলা হয়েছে আমার জানা নেই।
বিডি প্রতিদিন/এএ