নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে শেরপুরে বিএনপির ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া এলাকার কাকিলাকুড়া মিশু মডেল একাডেমি মাঠ থেকে তাদের আটক করা হয়। পুলিশের দাবি, নেতাকর্মীরা নাশকতার উদ্দেশ্যে বৈঠক করছিল। তবে পরিবার ও বিএনপি বলছে, পুলিশ সবাইকে বাড়ীবাড়ী গিয়ে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের দুপুরের পরে আদালতে পাঠালে আদালত জামিন নামঞ্জুর না করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।
আটক নেতাকর্মীর মধ্যে রয়েছেন উপজেলার সিংগাবরুণা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোখলেছুর রহমান, সিংগাবরুনা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহবায়ক মুহাম্মদ শাহজাহান চাঁন, রাণীশিমুল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্লাত হোসেন আকন্দ, কাকিলাকুড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আনোয়ার ইসলাম রানা, একই ইউনিয়নের যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইস্রাফিল হোসেন, তাঁতীহাটি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মামুন মিয়া, খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মনোহর আলী, একই ইউনিয়নের বিএনপির সদস্য আমির হামজা, যুবদলের সদস্য রতন মিয়া। গণমাধ্যমকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মাহমুদুল হক রুবেল।
গ্রেফতারের প্রতিবাদ করে মাহমুদুল হক রুবেল জানান, ভোটবিহীন এ সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের ন্যায় এবারো ধরপাকর করে বিএনপির নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আবারও অতি উৎসাহী পুলিশ গায়েবি মামলা দিয়ে ভিন্ন মত দমন করতে তৎপরতা শুরু করেছে। রুবেলের দাবি যাদের আটক করেছে তাদেরকে বাড়ি থেকে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সাদা পোশাকে আনা হয়েছে। এসব বানোয়াট মামলা হতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সরে আসতে অনুরোধ জানান।শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খানের দাবি, অস্ত্রসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্থানীয় কাকিলাকুড়া মিশু মডেল একাডেমি মাঠে গোপন বৈঠক করছিলেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে তাদের আটক করে। ঘটনাস্থলে ৪টি ককটেল, দেশীয় অস্ত্র লাঠি ২০টি ও দা ৪টি। মামলা পর সবাইকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ