১২ মার্চ, ২০২৪ ২০:৩৯

নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ

নোয়াখালীর উপকূলীয় হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের দক্ষিণ বিরবিরি গ্রামে নির্যাতনে ১১ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গৃহবধূ ফারসিনা আক্তার নিফার মারা গেছেন। নিহতের শরীরে গলা, বুক ও পিঠসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 

ঢাকা মেডিকেলে ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার সকালে নিহত গৃহবধূর পিতার নিজ গ্রাম হাতিয়ার দক্ষিন বিরবিরি গ্রামে লাশ দাফন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী সকালে। দীর্ঘ ১১ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মারা গেছে। 
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে পারিবারিক ভাবে হাতিয়ার চর ঈশ্বর ইউনিয়নের জমিদার পাঞ্চায়েত বাড়ির আলাউদ্দিনের ছেলে আজমীর হোসেন ওরপে ইরাক উদ্দিনের সাথে দক্ষিন বিরবিরি গ্রামের খবির উদ্দিনের মেয়ে নিহত গৃহবধুর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ২টি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে মোটা অংকের যৌতুকের জন্য স্বামী ইরাক ও তার শুশুর আলাউদ্দিন ও শাশুড়ী নির্যাতন করে আসছে। গৃহবধূ তাদের এই দাবীর প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন সময়ে চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। তারই অংশ হিসেবে ঘটনারদিন সকালে স্বামী ও শুশুর পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রচার করে প্রথমে হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে ও পরে নোয়াখালীর মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্টক রোগী দেখিয়ে ভর্তি করে। পরে তাকে আশংকা জনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভিক্টিম ও তার নাম ঠিকানা ভুল লিপিবদ্ধ করে ভর্তি করে এবং ঘটনার অবস্থা খারাপ দেখলে রোগিকে (স্ত্রী) কে ফেলে পালিয়ে যায় স্বামী ইরাক। দীর্ঘ ১১ দিন ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা যায় গৃহবধূ। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিসান আহম্মেদ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। গৃহবধূ তার বাচ্চাকে মারলে শশুর ও স্বামী প্রতিবাদ করে।  

বিডি প্রতিদিন/এএম

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর