দেশ গড়ায় হিন্দু-মুসলিমসহ সর্বস্তরের গণমানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই দরবার শরীফের পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেছেন, তার দল দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে বিগত দিনে সকল আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে। ন্যায়ের পক্ষে অন্যায়ের বিপক্ষে সর্বদা সোচ্চার ছিলো, আছে এবং থাকবে। গত ৫ আগস্টের পর হিন্দুদের মন্দির পাহাড়া ও বন্যা কবলিত বিভিন্ন ইস্যুতে ত্রাণ তৎপরতায় সাধ্যের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করছে। শনিবার বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বিএইচপি একাডেমি মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলে তিনি।
গত জুলাই-আগস্টের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগি সংগঠন বিশেষ ভূমিকা রেখেছে জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, এতে সংগঠনের ১৮ জন কর্মী শাহাদাত বরণ করেছে এবং প্রায় ৫ শতাধিক কর্মী আহত অবস্থায় এখনো চিকিৎসাধীন আছে।
দেশের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ইসলামকে বাদ দিয়ে করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, বিগত দিনে হিন্দু সম্প্রদায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। তার নিন্দা জানিয়ে দেশ গড়ায় হিন্দু-মুসলিম সহ সর্বস্তরের গণমানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনুসকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঘোষিত পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং নয় দফা দাবি বাস্তবায়নের আহবান করেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আগৈলঝাড়া উপজেলা সভাপতি মো. রাসেল সরদার মেহেদির সভাপতিত্বে ও সহ সভাপতি মাওলানা আবু ইসহাক আশ্রাফীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলার সহ দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আবুল খায়ের, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মো. সানাউল্লাহ, জেলা সংখ্যালঘু ও নৃগোষ্ঠী সম্পাদক মুফতি হাসান মাহমুদ, ইসলামী যুব আন্দোলন আগৈলঝাড়া উপজেলা সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন শাহ্, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন এর সাবেক সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ ভাট্রি, শাহীন বক্তিয়ার, হাফেজ আব্দুল্লাহ ভাট্টি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল