বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলারসহ অপহৃত ১৯ জেলে অবশেষে তিনদিন পর বাড়ি ফিরেছেন। রবিবার (১০ নভেম্বর) বিকেল ৩ টায় কুতুবদিয়া উপজেলার আকবর বলি ঘাটে ফিশিং ট্রলারটি ঘাটে ফিরলে কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসন তাদের রিসিভ করে। পরে যে যার মতো করে তাদের বাড়িতে ফিরে যান। এদিকে স্বস্তি ফিরেছে তাদের পরিবারের মাঝে।
জানা যায়, জলদস্যুরা ফিশিং ট্রলারটি বিকল করে এসব জেলেদের সাগরে রেখে চলে যায়। রবিবার সকালে ভাসমান অবস্থায় ফিশিং ট্রলারটিকে অন্য একটি ফিশিং ট্রলার উদ্ধার করে কুতুবদিয়ার পথে রওনা দেয়।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুরা মাছ ধরার 'আল্লাহ দয়া' নামের ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি করে। এসময় ফিশিং ট্রলার মাঝি মোকাররম হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ মাঝিকে নিয়ে ফিশিং ট্রলারের জেলে জয়নালকে উপকূলে পৌছে দেন তারা। পরে, বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে মাঝি মোকাররম হোসেনের মৃত্যু হয়।
উদ্ধার ১৯ জেলেরা হলেন- উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ার মনছুর আলম, জমির বাপের পাড়ার শাহ আলম, রুহল আমিন ও নয়ন, চাটি পাড়ার নাছির উদ্দীন, শাহজাহান, আব্বাস উদ্দিন ও তৌহিদ, কাইসার পাড়ার প্রকাশ শুনাইয়া ও রেজাউল করিম, ফরিজ্যার পাড়ার গিয়াস উদ্দিন, মেহেদি হাসান, সাকিব, ইদ্রিস ও সায়েদ, কুইলার পাড়ার সাগর, দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের মশরফ আলী বলির পাড়ার প্রকাশ কালু ও রুবেল। তবে নোয়াখালীর এক জেলের নাম জানা যায়নি।
ফিশিং ট্রলার বাঁশখালী শেখেরখীল এলাকার মো. ইসমাইল হোসেন জানান, জলদস্যুরা তার ফিশিং ট্রলারের মেশিন বিকল করে ১৯ জেলেকে নিয়ে সাগরে ভাসমান অবস্থায় ছেড়ে দেন। এমতাবস্থায় ফিশিং ট্রলারটি মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে মাঝির সহকারী শাহ আলম তাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। পরে, তার ফিশিং ট্রলারটি নিয়ে আসার জন্য কুতুবদিয়া থেকে আরো একটি ফিশিং ট্রলার পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত জলদস্যুরা কোনো প্রকার মুক্তিপণ দাবি বা যোগাযোগ করেনি। এদিকে বিকেল ৩ টার দিকে ফিশিং ট্রলারটি কুতুবদিয়া আকবর বলি ঘাটে ফিরলে সেখানে কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসন তাদেরকে রিসিভ করেনে।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাথোয়াইপ্রু মারমা দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অপহৃত ১৯ জেলেকে আকবর বলি ঘাট থেকে রিসিভ করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল