বুধবার থেকে টেকনাফের নাফনদে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে কোনো নৌযান যেন বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমারের জলসীমায় না যায় তার জন্য বিশেষ সর্তকর্তা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে জরুরি প্রয়োজনে টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ রুটে যাত্রীবাহি নৌযান কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় চলাচল করবে।
আজ শুক্রবার বিকালে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহেসান উদ্দিন।
তিনি জানিয়েছেন, নাফনদে দীর্ঘদিন ধরে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। এখনও নাফনদে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। তবে নাফনদ দিয়ে সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলার যাতায়ত করতে পারবে। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই যেন বাংলাদেশেরর জলসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমারের কাছাকাছি না যায় তার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ট্রলার মালিক, জেলেদের সাথে আলোচনা হয়েছে। টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ রুটে যাত্রীবাহী নৌযান চলবে কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায়। এর জন্য সকল নিদের্শনা প্রদান করা হয়েছে।
৮ ডিসেম্বর সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর আরাকান আর্মি শতভাগ নিয়ন্ত্রণে নিলে নাফনদে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিবৃতি প্রকাশ করে। এরপর বাংলাদেশও সতর্কতা হিসাবে নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল