হাইকোর্টের আদেশের পর বন্ধ করা হচ্ছে পাহাড়ের সব অবৈধ ইটভাটা। এরই মধ্যে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বন্ধ করা হয়েছে প্রায় ১২টি অবৈধ ইটভাটা। তবে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হাইকোর্টের রিট পিটিশন নং ১২০৪, ২০২২, ১৩৭০৫, ২০২২ এর আদেশ মোতাবেক ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই যারা এ আদেশ অমান্য করে ইটভাটা চালু রেখেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালনা করে তাদের ইটভাটা ধ্বংস করা হচ্ছে। একই সাথে অর্থদণ্ড প্রদান করা হচ্ছে।
রাঙামাটি ১০টি উপজেলা মিলে প্রায় ২৮টি ইটভাটা রয়েছে। তার মধ্যে অবৈধ চালু আছে প্রায় ১৬টি। এরই মধ্যে রাঙামাটি কাউখালী, লংগদু, রাজস্থলী ও বাঘাইছড়ির ইট ভাটার কাঁচামাল ও চুল্লি ধ্বংস করা হয়েছে। বাকি অবৈধ ইটভাটা বন্ধের কার্যক্রম চালু রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কাউখালী উপজেলার ৩টি অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কাউখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাজী আতিকুর রহমান।
জানা গেছে, রাঙামাটি কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের গাড়িছড়া গ্রামে অবস্থিত জেবিএম ব্রিকস। আদর্শ গ্রামে এটিএম ব্রিকস এবং তারাবুনিয়া গ্রামে এমএন্ডসি ব্রিকসের ইটভাটা বন্ধ করতে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় পানি ছিটিয়ে ইটভাটার জ্বলন্ত চুল্লির আগুন নিভিয়ে দেয়া হয়। একই সাথে এলজিইডির সহায়তায় এস্কেভেটার দিয়ে কাঁচা ইটগুলো ধ্বংস করা হয়।
এ সময় ইটভাটা মালিকদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাধ্যমে নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ জানায়, পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে ইটভাটা বন্ধ করা জরুরি। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের পর ইটভাটা বন্ধ করার জন্য নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত