বরিশালের সদর উপজেলার চারকাউয়া এলাকার খাল থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের রহস্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও হত্যাকারীকে গ্রেফতার ও গৃহবধূর স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিদর্শক মো. ছগির হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃত হত্যাকারী হলো-ফিরোজ হাওলাদার (৩৫)। সে চরকাউয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড খন্দকার বাড়ীর বাসিন্দা ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে।
মঙ্গলবার সকালে চরকাউয়া খান বাড়ির পিছনের খাল থেকে তিন সন্তানের জননী হাসিনা বেগমের (৪০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে চরকাউয়া গ্রামের বাসিন্দা ও চরকাউয়া মাঝি মাল্লা সমিতির সাবেক সভাপতি মো. ওমর ফারুকের স্ত্রী।
ডিবির পরিদর্শক ছগির হোসেন বলেন, সুদের জন্য দেয়া পাওনা টাকা নিয়ে দ্বদ্বের জেরে নারীকে হত্যা করেছে ফিরোজ। পরে লাশ গুম করতে খালে ফেলে দেয়। গুপ্তচর নিয়োগ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে গৃহবধুর ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন, গলার স্বর্ণের চেইন দুইটি, আংটি দুইটি, এক জোড়া কানের দুল এবং হাতের বালা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও হত্যার কথা স্বীকার করেছে ফিরোজ।
তার স্বীকারোক্তির বরাতে পরিদর্শক ছগির বলেন, হত্যাকারী ফিরোজের স্ত্রী একটি বেসরকারী সংস্থায় চাকরি করে দুই লাখ টাকা জমায়। করোনার সময় তার চাকরি চলে যায়। তখন স্ত্রীর পরামর্শে দুই লাখ টাকা গ্রামের সুদ ব্যবসায়ী হাসিনা বেগমকে দেয়ার সিদ্বান্ত নেয়। স্ত্রীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেয় ফিরোহ। কিন্তু মাসিক আড়াই হাজার টাকা চুক্তিতে হাসিনাকে দেয় দেড় লাখ টাকা। দুই মাস সুদ দেয়ার পর হাসিনা টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে। হাসিনা প্রভাবশালী হওয়ায় কোনভাবে টাকা আদায় করতে পারেনি। তাই টাকা না দিলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সেই অনুযায়ী গত সোমবার বাসায় কেউ ছিলো না। তাই হাসিনাকে প্রলোভন দিয়ে বাসায় নেয় ফিরোজ। তিনি বাসায় গেলে পাঁচটি ঘুমের ঔষধ মেশানো দুধ খেতে দেয়। ওই দুধ খেয়ে হাসিনা অচেতন হয়ে পড়ে। রাত একটার দিকে গৃহবধূর হাত-পা বেধে তার স্বর্নালংকার খুলে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। পরে খালে ফেলে দেয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম