শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে বাল্কহেড শ্রমিকসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার আঙ্গারিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে আহতরা হলেন, শরীয়তপুরের পালং থানার ডোমসার মোল্লা কান্দি এলাকার দলিল উদ্দিনের ছেলে তোতা মিয়া (৩৫), পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার জয়নাল মিয়ার ছেলে বাল্কহেড শ্রমিক মাসুম মিয়া (৩০), একই জেলার নাজিরপুর উপজেলার কালিকাঠী এলাকার আনিস ফকিরের ছেলে বাল্কহেড শ্রমিক আলামিন (১৯)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত ১০টার দিকে স্পিডবোটযোগে একদল ডাকাত আঙ্গারিয়া এলাকায় প্রবেশ করে। স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদের প্রতিহত করতে গেলে ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
এরপর ডাকাতির খবর ছড়িয়ে পড়ায় রাজগঞ্জ এলাকা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ডাকাতদের ধরতে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে নদীপথ আটকে দেয়। পরে স্পিডবোট তীরে রেখে পালানোর সময় স্থানীয়রা পাঁচ ডাকাতকে ধরে ফেলেন। পরে তাদের গণধোলাই দেন উত্তেজিত জনতা। আহত ডাকাতরা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার পর আহত অবস্থায় প্রথমে তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মাসুম মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে স্থানীয়দের সহায়তায় ধরা হয়েছে। ডাকাত দলের পাঁচ সদস্য বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া, স্থানীয়রাও আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ