শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্তে বুরো ধান খেতে এসে একটি বন্য হাতি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সীমান্তের পাহাড়ি গ্রাম পৃর্ব সমচ্চুড়া গুচ্ছ গ্রাম কলোনির পার্শ্বে লাল নেংগড় এলাকায় বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে পড়লে হাতিটির মৃত্যু হয়। শুক্রবার বিকেলের দিকে হাতির ময়না তদন্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও বন বিভাগ জানায়, সীমান্তের পাহাড়ি গ্রামগুলোতে চলে আসা বন্য হাতির তাণ্ডব আরও বেড়েছে। প্রতিনিয়ত দিনের বেলা ও রাতে অব্যাহত তাণ্ডব চলায় স্থানীয় কৃষকরা খেতের চারপাশে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইট জ্বালিয়ে রাখেন। এতে ভয়ে হাতির দল ধান ক্ষেতে হানা দিতে আসে না।
বৃহস্পতিবার সন্ধার পর প্রায় ২০টি বন্য হাতির একটি দল লাল নেংগড় এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা জিয়ারুলের বুরো ধানের খেতে খাবারের সন্ধানে নামে। ধান ক্ষেতে তাণ্ডবের একপর্যায়ে পাশে থাকা বৈদ্যুতিক লাইনের স্পর্শে এলে একটি হাতি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এসময় সঙ্গে থাকা অন্যান্য হাতিরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে সেখানে তাণ্ডবলীলা চালায় ও মৃত হাতিটিকে ঘিরে রাখে। ফলে ভয়ে ফসল রক্ষায় বা হাতিটিকে উদ্ধারে কেউ এগিয়ে আসতে সাহস পায়নি। খবর পেয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পদির্শন করেন।
শেরপুরের মধুটিলা রেজ্জের রেঞ্জার দেওয়ান আলী জানান, জিয়ারুল নামে এক কৃষক ধান ক্ষেত বাচাতে জেনারেটরের বিদ্যুৎ দিয়ে বন্য হাতি হত্যা করেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইনে মামলা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম