টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে মিজানুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার ভাইঘাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি উপজেলার নরিল্লা সান্ডাইল পুর এলাকার মৃত মান্নানের ছেলে মিজানুর রহমান (৪০)। তিনি ধোপাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮ ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, মিজানুর রহমান মসজিদ, গোরস্থান, মাদ্রাসা এবং ঈদগা মাঠ পরিচালনা করেছেন। বিএনপি’র নেতা আলামিনের সাথে মিজানুর রহমানের বায়তুল আমান নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রসার দেড় শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মিজানুর রহমান স্থানীয় একটি দোকানে চা খেতে যায়। এ সময় আলামিন তাকে ডেকে নিয়ে অন্যস্থানে যায়। পরে এক পর্যায়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা আল-আমিন, সাদিকুল জহুর আলী ও তাদের সহযোগীরা মিজানুর রহমানকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবন্নতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে ধোপাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল সামাদ আজাদ জানান, মিজানুর রহমানকে রুমের ভিতরে শাটার নামিয়ে হত্যা করে মসজিদের সামনে ফেলে যায়।
ধনবাড়ী থানার ওসি এস এম শহিদুল্লাহ বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পরিবারের লোকজন মামলার প্রস্ততি নিচ্ছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল